আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আগেই। সেই মতো সোমবার ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা বিবিসি-র বিরুদ্ধে ১০০০ কোটি ডলারের মামলা ঠুকলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদসংস্থা এপি জানিয়েছে, ট্রাম্প বিবিসি-র বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনেছেন। তা ছাড়া ওই ওই সংবাদসংস্থা মিথ্যা, উস্কানিমূলক খবর পরিবেশন করেছে বলেও মামলার ৩৩ পাতার নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালে। বিবিসি সম্পাদিত একটি তথ্যচিত্রে দেখানো হয়, সেই বছর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলপ্রকাশের পরে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে হামলা করে উত্তেজিত জনতা। হামলার জন্য আঙুল ওঠে সদ্য পরাজিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দিকে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের দু’টি আলাদা আলাদা বক্তব্যকে এমন ভাবে জুড়ে বিবিসি-র ওই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছিল, যা শুনে মনে হয়— ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য ট্রাম্প প্রত্যক্ষ উস্কানি দিয়েছিলেন। এই ঘটনার পরে বিশ্ব জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। বিবিসি-র এই তথ্যচিত্র নিয়ে প্রথমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিনা লেভিট। তিনি দাবি করেছিলেন, এই ধরনের কোনও হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্ররোচনা দেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার পর বিবিসি-র বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃত করার অভিযোগ তুলে তথ্য ফাঁস করে সেই দেশেরই একটি সংবাদপত্র। গত নভেম্বরে সমসয়ীমা বেঁধে দিয়ে তথ্যচিত্রটি তুলে নেওয়ার দাবি জানান ট্রাম্পের আইনজীবীরা। তথ্যচিত্রটির ভুল সম্পাদনার জন্য নভেম্বরেই ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল বিবিসি। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ট্রাম্পের সম্মানহানির লক্ষ্যে ওই কাজ করা হয়নি। বিবিসি-র চেয়ারম্যান সমীর শাহ বিষয়টিকে ‘সিদ্ধান্তগ্রহণে ভুল’ বলে ব্যাখ্যা করেন। তবে চাপের মুখে ইস্তফা দেন বিবিসি-র ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের সিইও ডেবোরা টার্নেস। দু’জনেই নিজেদের বিবৃতিতে বিতর্কের সম্পূর্ণ দায় নেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২১ সালে। বিবিসি সম্পাদিত একটি তথ্যচিত্রে দেখানো হয়, সেই বছর আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফলপ্রকাশের পরে ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলে হামলা করে উত্তেজিত জনতা। হামলার জন্য আঙুল ওঠে সদ্য পরাজিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দিকে। ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ওয়াশিংটনের এক অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের দু’টি আলাদা আলাদা বক্তব্যকে এমন ভাবে জুড়ে বিবিসি-র ওই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছিল, যা শুনে মনে হয়— ক্যাপিটল হিলে হামলার জন্য ট্রাম্প প্রত্যক্ষ উস্কানি দিয়েছিলেন। এই ঘটনার পরে বিশ্ব জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। বিবিসি-র এই তথ্যচিত্র নিয়ে প্রথমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউসের প্রেসসচিব ক্যারোলিনা লেভিট। তিনি দাবি করেছিলেন, এই ধরনের কোনও হিংসাত্মক কার্যকলাপের প্ররোচনা দেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তার পর বিবিসি-র বিরুদ্ধে তথ্য বিকৃত করার অভিযোগ তুলে তথ্য ফাঁস করে সেই দেশেরই একটি সংবাদপত্র। গত নভেম্বরে সমসয়ীমা বেঁধে দিয়ে তথ্যচিত্রটি তুলে নেওয়ার দাবি জানান ট্রাম্পের আইনজীবীরা। তথ্যচিত্রটির ভুল সম্পাদনার জন্য নভেম্বরেই ট্রাম্পের কাছে ক্ষমা চেয়েছিল বিবিসি। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছিল, ট্রাম্পের সম্মানহানির লক্ষ্যে ওই কাজ করা হয়নি। বিবিসি-র চেয়ারম্যান সমীর শাহ বিষয়টিকে ‘সিদ্ধান্তগ্রহণে ভুল’ বলে ব্যাখ্যা করেন। তবে চাপের মুখে ইস্তফা দেন বিবিসি-র ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি এবং সংবাদ বিভাগের সিইও ডেবোরা টার্নেস। দু’জনেই নিজেদের বিবৃতিতে বিতর্কের সম্পূর্ণ দায় নেন।
আন্তজার্তিক ডেস্ক